পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই পরিবেশ দূষণ রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক হয়েছে তার।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং সড়ক মহাসড়ক নির্মাণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সহযোগিতায় দূষণকারী পরিবহণ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এজন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিভাবে একসঙ্গে কাজ করব সে বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে আলোচনা করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রকমের পরিবেশ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। যাত্রা, বাউল গান ও কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বৈঠকগুলোতে মন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয়মূলক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে চাই। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারিত থাকবে যার সঙ্গে সমন্বয় করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে।

ইপেপার লিংক পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ