পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণুতা অর্জনে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের (বিসিসিটি) প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।

তিনি বলেন, ‘‌জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে (জিসিএফ) ডাইরেক্ট অ্যাকসেস এনটিটি হিসেবে বিসিসিটির নিবন্ধন প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় ২৯তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কপ২৯-এ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে অভিযোজন অর্থায়ন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফাইন্যান্সে বাংলাদেশ যাতে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী কপ২৯-এ কার্যকরী অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী কান্ট্রি পজিশন পেপার প্রস্তুত করতে হবে। জাতিসংঘ, জিসিএফ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সাইড ইভেন্ট আয়োজনসহ একযোগে কাজ করতে হবে। 

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী এবং পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সম্প্রতি জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত ৬০তম সাবসিডিয়ারি বডির সভায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবেশমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন।

ইপেপার লিংক পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ